লেখকঃ সাদিকুর রহমান খান
মানুষের দুঃখ কষ্টের কথা বলতে যাইয়া ডক্টর ইউনূস আজ কেঁ দে ফেলেছেন সবার সামনে।
এর আগে কেঁ দেছিলেন আবু সাঈদের কথা বলতে যাইয়া।
সম স্যা হলো,অন্যান্য পলিটি’শিয়া’নদের মতো উনি কা’ন্না ম্যানেজ করতে পারেন না। কথা বলতে বলতে হুট করে থেমে যান। কথাই বলতে পারেন না।
মানুষের জন্য আমাদের পলি’টিশি:য়ানরা কখনোই কা’ন্নাকা’টি করেন নাই। উনারা কা’ন্নাকা’টি করেন নিজের পরিবারের জন্য, মেট্রোরেল বা উন্নয়নের জন্য, বড় জোর নিজের দলের কর্মীদের জন্য।
দেশ কতটা উন্নতি হয়েছে, কত মানুষ খা’ইতে পারতেছে, এসব বলে গর্ব করাই রাজনীতিবিদদের প্র্যাকটিস। দা’রি’দ্র লুকাইয়া ফেলো, মানুষ মরে সাফ হয়ে যাক, নিজের সম্মান ঠিক রাখো।
এই প্রথম কোন রাষ্ট্র প্রধান বিজনেস সামিটে উইঠা চোখের পানি ফেললেন, বললেন, আমার দেশের মানুষ দ’রি/দ্র।
আসলেই তো, এরচে সরল স্বীকারোক্তি আর কী আছে?
বাটার দোকান লুট হইছে স ন্ত্রা/সের জন্য না। গরী’বের জন্য। রিয়েলিটি হলো, এই দেশের কমপ’ক্ষে ৪ কোটি মানুষের দৈনিক ইনকাম ১০০ টাকার কম।
ক্যান ইউ ইমাজিন?
অথচ ইউনূসের এসবের দরকার ছিলো না।সে তো এলিট ক্লাসের মানুষ, ভালো ভালো কথা বলে নিজের ইমেজ ঠিক রাখতে পারতো। নিজের সম্মান, গাটস ঠিক রেখে শেষ করতে পারতো।
বাট উনি সেইটা করলেন না।
নিজের আত্মস’ম্মা’নবোধও এক প্রকার বিস’র্জনই দিলেন বোধহয়, কোন উন্নয়নের গল্প শোনান নাই, মানুষ অনেক ভালো আছে টাইপের মি”থ্যা বলেন নাই, স্বজন হা’রা/নোর বেদনা করেন নাই, খালি বলেছেন, আমার দেশের মানুষ খুব গরীব।
আমি এর আগে এই লোককে কখনোই এতো আন্তরিকতার সাথে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশের মানুষকে ওউন করতে দেখিনি।
যুগে যুগে মানুষের দা’রি’দ্র ঢেকে রাজনৈতিক নেতারা নিজেদের ইমেজ রক্ষা করতেন।
এই প্রথমবারের মতো কোন রাষ্ট্রপ্রধান নিজের মানুষের দা’রি’দ্রকে ওউন করে নিজের ইমেজ বিস’র্জ ন দিলেন।
জুলাই শুধু আমাদের একটা প্রজন্মকেই বদলে দেয়নি, জুলাই খুব সম্ভবত ডক্টর ইউনূসকেও বদলে দিয়েছে অনেকখানি।