নিউজ ডেস্কঃ
দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন দ্বীপে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে অবৈধভাবে জমি দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাতের আঁধারে সীমানার ঘেরা উপড়ে ফেলা হয়েছে। আদালতের রায় উপেক্ষা করে ও আইন ভঙ্গ করে জমি দখলের ঘটনাটি টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপের পশ্চিম পাড়ায় ঘটেছে। গত সোমবার দিবাগত রাত ১২.১টায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। দ্বীপের ৪নং ওয়ার্ডের পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা রেডিও নাফ ৯৯.২ এফএম এর প্রতিনিধি জয়নুল আবেদীনের অভিযোগে জানা গেছে, মাহামান্য আদালতের আদেশে বিরোধপূর্ণ জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করে থানা পুলিশ। গত ৪ সেপ্টেম্বর সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোস্তাকিমের স্বাক্ষরিত ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারার নোটিশ প্রদান করে উভয়কে স্ব স্ব অবস্থানে থেকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বলা হয়। যার এমআর মামলা নাম্বার ১৭১৬/২১ । সেই আইন বলবৎ থাকাবস্থায় প্রতিপক্ষ কক্সবাজার ঈদগাহ এলাকার সেলিম উল্লাহর ছেলে বহিরাগত মোঃ জাহিদ গতরাতে লোকজন ও লাঠিসোটা নিয়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জমি দখল করার চেষ্টা করে এবং সীমানার বেড়া উপড়ে ফেলে। এছাড়াও আমি আমার বাপদাদার ওয়ারিশ সুত্রে খতিয়ানভুক্ত জমিনের মালিক। আমি বাহিরে চাকুরী থাকার অবস্থায় সুযোগ পেয়ে বহিরাগত জাহিদ জোরপূর্বকভাবে ক্ষমতা দেখিয়ে সকলকে ম্যানেজ করে আমার জমিনের উপর আবাসিক হোটেলের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি সে আমার জমিনের সামনে বালির ডেইল কেটে হোটেল নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি সেন্টমার্টিনে আবাসিক হোটেল করার সরকারি অনুমতি না থাকলেও রাতারাতি সে সকলকে ম্যানেজ করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, নুর মোহাম্মদ নামে একজন রোহিঙ্গাকে সে তার বাপদাদার জমিন মনে করে জমিনের মধ্যে পাহারাদার হিসাবে দায়িত্ব দেয়। এ ব্যাপারে পুলিশ ফাঁড়িকে অবহিত করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। অভিযুক্ত বহিরাগত মোঃ জাহিদের সাথে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এই বিষয়ে সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার প্রমাণ পাওয়া গেলে আইন ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, উপরোক্ত ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান। এ ব্যাপারে জানতে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ মোহাম্মদ নাজমুল হুদাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি আর রিটার্নও করেননি। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার পারভেজ চৌধুরী বলেন, নতুনভাবে রিসোর্ট নির্মাণের কোন সুযোগ নেই। কেউ যদি আইন অমান্য করে রিসোর্ট নির্মাণ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সূত্র:ভোরের সংবাদ প্রতিদিন।