ম.ম.রবি ডাকুয়া,বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের টহল ফাড়ি সংলগ্ন অগ্নিকান্ডের হেতু জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।তিন সদস্য বিশিষ্ট এ তদন্ত কমিটিতে আগামী ৭ কর্মদিবসে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক(এসিএফ)এনামুল হককে প্রধান করে অপর দুই জন যথা ক্রমে একই রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা অসিত কুমার রায় ও ফরেষ্ট রেঞ্জার ওবায়দুর রহমানকে সদস্য করে গঠিত হয় এ তদন্ত কমিটি।৮ ফেব্রুয়ারী সোমবার রাতেই এ তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও)মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।
জানা যায় চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশন টহল ফাঁড়ি এলাকায় সোমবার দুপুরে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ঘেটেছে।প্রায় চার ঘন্টা চেষ্ট করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে শরণখোলা ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন।এর পর অগ্নিকান্ড নিয়ে নানা রকম সন্দেহ ও মন্তব্য আসতে থাকে পরে এ ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্যে গঠিক হয় তদন্ত কমিটি।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান,অগ্নিকান্ডে চার শতাংশ বনভুমি পুড়লেও বড় ধরনের তেমন কোন ক্ষয় ক্ষতি হয়নি।এর জন্যে তদন্ত কমিটি গঠিত করা হয়েছে।প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে আসলে কি কারনে অগুন লেগেছে।পরে অবস্থা বুঝে ব্যাবস্থা নেয়া হবে ।
তবে স্থানীয় লোকজন ও পরিবেশ বিদদের মধ্যে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।তারা মনে করছে ঘটনা স্থলের কর্মরত বন কর্মকর্তা কর্মচারীদের দিয়ে তদন্ত করালে আসল ঘটনা অন্তরালেই থেকে যাবে।
এর আগে উক্ত স্থান সহ সুন্দরবেনে ১৫ বছরে ২৭ বার আগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।যাতে প্রায় ৮০ একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।চলতি এ ঘটনার আগে সর্বশেষ ২০১৭ সালের ২৬ মে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর ষ্টেশনের নাংলী ক্যাম্পের আওতাধীন আব্দুল্লাহর ছিলা নামক স্থানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।উক্ত অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রায় পাঁচ একর বনভূমির গাছ লতা পাতা সর্বস্ব পুড়ে যায়।তদন্তের নামে ওসব ঘটনার মূলউৎপাটন তেমন কিছুই হয়নি তাই অধিকতর তদন্ত ব্যবস্থা বলে পরিবেশ বিদদের মত।