ম.ম.রবি ডাকুয়া,বাগেরহাটঃ
বাগেরহাটের ফকিরহাটে বেশ কয়েকটি ফসলি জমেতে এবার সরিষা চাষে সফলতা এসেছে।কৃষকের ফলন বাম্পার হয়েছে।স্থানীয় কৃষি অফিসের বীজ যথাযত পরামর্শ আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এমন সম্ভব হয়েছে ।আগামী মৌসুমে দ্বীগুন চাষের আশায় আছেন কৃষক সহ কৃষি আফিস।
উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগীতা ও স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে নানা প্রকার কর্মপরিকল্পনা তেলবীজ ফসলের উৎপাদন প্রকৃয়া নিয়ে কৃষকদের সাথে আলোচনা ও উৎসাহ যুগিয়েছে।স্থানীয় কৃষকদের সরিষা চাষে প্রশিক্ষন সহ নানা প্রকার পরামর্শ বীজ ও নগত অর্থ প্রদান আরো বেগবান করেছে চাষ প্রকৃয়াকে।স্থানীয় ভাবে আগে তেমন এ তেলবীজ ফসল চাষ হতোনা বললেই চলে হলেও তা ছিল হাতেগোনা।তাই কৃষকরা প্রথমে ইতস্তত করলেও পরে তারা আত্নপ্রত্যয়ি ও কঠোর পরিশ্রম ও চেষ্টায় সফল হয় বরে জানান কৃষকরা।এবং অল্প খরচে এমন লাভ জনক ফলন পেয়ে তারা খুশি অনেকেই।
সরেজমিনে ঘুরে উপজেলার পিলজংগ ইউনিয়নের টাউন নওয়াপাড়া গ্রামের চাষিদের কাছে শোনা যায় তাদের চাষের সাধনা আর পরিশ্রম আর কৃষি অফিসের সহযোগীতার কথা।কেউ জানায় প্রথমে তারা কৃষি অফিসের কথায় তেমন কান দেয়নি,পরে তারা মাথায় চিন্তা আনে যে এক জমিতে একই ফসল বার বার চাষ করলে জমির উর্বরতা হরিয়ে ফেলে।পরে স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে তারা এ সরিষা চাষের উদ্যোগ নেয়।কেউ কেউ আউশ ধান কেটে নভেম্বর মাসের ১০/১৫ তারিখের মধ্যে চাষ দিয়ে এর পর জমিতে জৈব সার সহ বিভিন্ন সার দিয়ে বীজ বপন করে।বীজ বপনের পর চারা গজালে ৫/৬ ইঞ্চি লম্বা হতেই প্রয়োজনীয় ইউরিয়া সার প্রয়োগ করে ও যথাযত সেচ দিয়ে এবং বপন কৃত চারার যত্ন করে এখন ফুলের সাথে নিজেদেরও হাসি ফুটিয়েছেন।ফুল আসায় আরো আশাবাদী তারা।স্থানীয় চাষিদের মধ্যে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,কুদ্দুস শেষ ৫০ শতক জমিতে,কবির হাওলাদার ৫০ শতক জমিতে,জেসমিন আক্তার ৫০ শতক জমিতে,নজরুল মল্লিক ৩৩ শতক জমিতে নজরুল হাওলাদার ৫০ শতক জমিতে,ইকরাম হোসেন মোড়ল ৩০ শতক নিজ জমিতে সরিষার চাষ করেছে।অপর দিকে অর্গানিক বেতাগা বিলে গনেশ দাশ ৫০ শতক জমিতে,অরুণ মজুমদার ৭৫ শতক জমিতে,প্রকাশ দাস ৫০ শতাক জমিতে,মোন্তাজ শেষ ৫২ শতক জমিতে সরিষার চাষ করেছেন।এর বাইরেও ফকিরহাট সদর,শুভদিয়া ইউনিয়ন,বহরদিয়া ও মনষা ইউনিয়নে অনেক গুলা ব্লকে এ সরিষা চাষ করেছেন।চাষিরা জানিয়েছেন আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আবাদকৃত ফসলে বাম্পার ফলন সহ লাভ আসছে ঘরে।
স্থানীয় কৃষি অফিসার বিপুল কুমার পাল জানান,টাউন নওয়াপাড়া গ্রামের ২০/২২ জন তেলবীজ চাষি তাদের পরামর্শে নিজ নিজ জমিতে সরিষার চাষ করে লাভবান হয়েছেন।আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে তাদের ফসল তাদেরকে লাভবান করবে।উপ-সহকারী প্রদীপ কুমার মন্ডল জানান তারা কৃষি অফিস থেকে তাদের বীজ সার সহ নানা রকম পরামর্শ প্রদান করেছেন।এ ছাড়াও চাষিদের জন প্রতি ১ হাজার করে টাকা প্রদান করেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ নাছরুল মিল্লাত বলেন,সরিষা চাষে প্রাথমিক ভাবে লাভ ক্ষতির অত ভাবনা চিন্তা না করে নিজ নিজ চাহিদা মেটানোর কথা মাথায় রেখে চাষ করা জরুরী।এক জমিতে বার বার একই ধরনের ফসল চাষ না করে,তেল জাতীয় ফসলের চাষ করা উচিত।এবং ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নানা ধরনের ফসল চাষ করলে মাটির উর্বরতা বজায় থাকে।তারা এ ধরনের চাষাবাদে চষীদের যথাযত উৎসাহ প্রদান করে যাচ্ছেন এবং যা অব্যহত থাকবে।যাতে করে চষিরা নিজেদের চাহিদার তেল ও খৈল যোগান দিতে পারেন।
এ ব্যপারে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ বাগেরহাট জানান,কৃষিতে তাদের যথেষ্ট সাফল্য রয়েছে।এখন তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়াতে ১ ইঞ্চি জমিও তারা অনাবদী রাখতে চান না।এবং কৃষিকে আরো বেগবান করতে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরী ।