ম.ম.রবি ডাকুয়া,বাগেরহাটঃ
প্রথম ধাপের বরাদ্ধকৃত ৪ হাজার ৮শ ভায়াল করোনা টিকা(ভ্যকসিন) বুঝে পেয়েছেন সিভিল সার্জন বাগেরহাট।যাতে ৪৮ হাজার ডোজ টিকা রয়েছে।আগামী ৭ ফেব্রুয়ারী থেকে প্রথমে প্রয়োগ করা হবে নিবন্ধন ভুক্ত নাগরীকদের।এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধিত ব্যক্তিদের মোবাইলে এসএম এস পাঠানোর মাধ্যমে নিশ্চত করা হবে।উক্ত এসএম এসে ভ্যকসিন দেয়ার তারিখ সময় ও স্থান নির্ধারিত থাকবে।প্রপ্ত এসএম এস অনুযায়ী কাঙ্খিত গ্রাহককে টিকাদান নিশ্চিত করবে ।
গতকাল ৩১ জানুয়ারী বিশেষ গাড়িতে করে টিকা বহন কারী দল বাগেরহাট সিভিল সার্জনের অফিস হাজির হলে উক্ত টিকা পরীক্ষা শেষে গ্রহন করেন সিভিল সার্জন বাগেরহাট ডা.কেএম হুমায়ুন কবির ।এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খন্দোকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান সহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ।
টিকাগ্রহন কালে গনমাধ্যম কর্মিদের সিভিল সার্জন কর্তৃক জানানো হয় বাগেরহাটের প্রথম ধাপের বরাদ্ধকৃত ৪৮ হাজার ডোজ করোনা টিকা আমরা বুঝে পেয়েছি।সেগুরা সঠিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত আছে।এবং এর গুনগত মান ভাল।সরকারি নিয়মনুযায়ী নিবন্ধিত নাগরীক গনকে টিকা প্রদান করা হবে।
এসময় সিভিল সার্জন নিশ্চিত করে বলেন সরকারী নির্দেশনা অনুসারে প্রথম ধাপের টিকা সরকারী বেসরকারী স্বাস্থ্যকর্মি,জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারী,গনমাধ্যমকর্মী,মুক্তিযোদ্ধা,পুলিশ সদস্যা,পয়সিস্কাসন কর্মিসহ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ও পেশাজীবিদের এ টিকা প্রদান করা হবে।এ টিকা প্রদানের জন্যে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ৮ টি বেড,সিভিল সার্জনের আওতায় ১টি,৮টি উপজেরয় ২টি করে এবং ৭৫টি ইউনিয়নে একটি করে বেড প্রস্তুত আছে।প্রথম ধাপে টিকা দেয়ার জন্যে প্রায় ১৫ হাজার গ্রাহক আছে।এবং প্রতি টিকা দান কেন্দ্রে অভিজ্ঞ ২জন স্বাস্থ্য কর্মি ও ৪ জন সেচ্ছা সেবক রয়েছে।এমন ১ম ২ টি টিম ইতমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে।তাছাড়াও টিকা প্রদান শেষে অনাকাঙ্খিত কোন ঘটনার অবতারনা হলে সমাধানের জন্যে ৭ সদস্য বিশিষ্ট এ্যডভান্স ইভেন্টস ফলোয়িং ইমুউনাইজেশন ম্যানেজমেন্ট (এইএফআই) টিম গঠন করা হয়েছে।এবং সরকার প্রথম ধাপের টিকা গুলো সরকারী হাসপাতালে প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন করির।