মুজাম্মেল হক:
দেশজুড়ে চলছে শৈত্যপ্রবাহ, কনকনে শীতে কাঁপছে দেশের মানুষ। বিভিন্ন জেলায় কমেছে তাপমাত্রা। উত্তর জনপদের পাশাপাশি গোটা দক্ষিণ এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৃদু থেকে মাঝারি এই শৈত্যপ্রবাহ আরো দুই থেকে ২-৩ দিন স্থায়ী হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শীতের প্রভাবের ফলে ওইসব এলাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীতে দারুণ কষ্টে আছে বস্ত্রহীন মানুষ। ডায়রিয়া, সর্দি-কাশিসহ শীতজনিত নানা রোগ দেখা দিয়েছে। প্রভাবে বেশি সমস্যায় ভুগছেন বয়স্ক ও শিশুরা।
কনকনে শীতে কাঁপছে দেশের উত্তরাঞ্চল।হিম হাওয়ার সাথে বৃষ্টির ফোঁটার মত ঝরছে কুয়াশা। দিনের বেলাতেও যেন সন্ধ্যার আবহ পথেঘাটে। উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়েও একই চিত্র। কনকনে তীব্র শীতে যেন জমে গেছে কুড়েঘরের বিছানা-বালিশ। খড়কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে বস্ত্রহীন ও হতদরিদ্র মানুষ।
রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ এবং গোপালগঞ্জ, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, ফেনী, পাবনা, নওগাঁর বদলগাছি, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ভোলা ও বরিশালে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সাধারণত ব্যারোমিটারের পারদ ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়, ৬-৮ ডিগ্রির মধ্যে নেমে এলে মাঝারি ও ৪-৬ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়।
গত রবিবার রাতে আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, সর্বনিম্ন ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাট ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। শনিবার রাজারহাটের তাপমাত্রা ছিল ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সিলেটের শ্রীমঙ্গলেও তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রিতে নেমে যায়। ঢাকায় এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আগের দিন ছিল ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ অঞ্চলের অধিকাংশ জায়গায় তাপমাত্রা ১১ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বিরাজ করেছে।