গত ৭ ডিসেম্বর, সোমবার নগরীর রেলওয়ে হাসপাতাল সিজিডির সামনে রেলওয়ে জেটি অঞ্চলের ডিপোর সর্বস্তরের শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে আন্তঃন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত ও নকশা মতে বন্দর উত্তর আ/এ সীমানা চিহ্নিত করণ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃক ভূমি অন্যায়ভাবে জবর দখল এবং রেলওয়ে হাসপাতাল সিজিডিকে সংস্কার করে পূর্ণ চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবিতে ‘রেলওয়ে কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ চট্টগ্রাম বন্দর জেটি অঞ্চল’ কর্তৃক এক মানববন্ধন ও রেল পরিবারের সমাবেশ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
রেলওয়ে কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সদস্য সচিব মো. রাজিবুল হাসানের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ও আহবায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক পার্টি কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোশাররফ হোসেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চল সিআরবি শাখার মহাব্যবস্থাপকের কাছে ৬টি দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো,
১. ১৯৬৬ ইং সনের আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত ও নকশা মোতাবেক বন্দর উত্তর আবাসিক এলাকার সীমানা চিহ্নিত পূর্বক সুরক্ষা প্রাচীর নির্মাণের ব্যবস্থা করা।
২. রোড বাই রোড বাসা বিনিময় বরাদ্দের ব্যবস্থা করা।
৩. রেলওয়ে পুলে অবস্থিত বন্দরের বাসা বন্দর কর্তৃক বসবাসের উপযোগী মেরামত করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা। পাশাপাশি রেলওয়ের সকল বাসা মেরামতের ব্যবস্থা করা।
৪. অবসরকালীন সময়ে জটিলতা থেকে মুক্ত থাকার জন্য বাসাগুলো স্ব স্ব বিভাগের মাধ্যমে বিনিময় বরাদ্ধাদেশ প্রদান করা।
৫. আবাসিক এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রশস্ত ড্রেন ও রাস্তা সংস্কার করা।
৬ রেলওয়ে হাসপাতাল সিজিডিকে আধুনিক হাসপাতালে রূপান্তর করে ১ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলা ডাক্তার নিয়োগ করা।
এসময় উক্ত মানববন্ধনে অন্যাদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আ. মালেক, জামশেদুল ইসলাম মো. জাহাঙ্গীর আলম, আফতাব মাহমুদ, মোজাম্মেল হক, ছাবের আহমেদ, শহীদ উল্লাহ, খুরশিদ বাদশাহ, আ. রহমান, জুয়েল, নাজমুল, বাবু, কামাল, স্বপন, বিপ্লব, জাহেদ, পলাশ প্রমুখ। এছাড়া রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্ত্রী-সন্তান, বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ও রেলওয়ে কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সকল সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।