মুহাম্মদ শাহাদাৎ হোসাইন :
চলাফেলা ও দৈনিক কাজকর্ম স্বাভাবিক রাখতে সুস্থ হাড় ও এর সংযোগস্থলের সুস্থতা জরুরি।
তাই হাড় ও এর সংযোগগ্রন্থি সুস্থ রাখতে বেশ কিছু বিষয় মেনে চলা উচিত।
স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে হাড়ের সংযোগ সুস্থ রাখার উপায় সম্পর্কে জানান হল।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস: ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি হাড় দৃঢ় ও সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। দুধের তৈরি খাবার ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। তবে এর অন্যতম ভালো উৎস হল সবুজ শাক সবজি।
স্বাস্থ্যকর চর্বি হাড়ের সংযোগস্থলকে আর্দ্র রাখে। চর্বি বহুল মাছ যেমন- টুনা, স্যামন; বিভিন্ন ধরনের বাদাম যেমন- কাঠবাদাম, আখ্রোট এছাড়া তিসি ও চিয়া বীজ ও জলপাইয়ের তেল খাবারে যোগ করুন।
এছাড়াও, শস্য, কন্দ, সবজি, রঙিন ফল, মটর ও বীজ হাড়ের জন্য উপকারী।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: ওজন বৃদ্ধি পেলে কোমড়, হাঁটু ও গোড়ালিকে বেশি ভর বহন করতে হয়। ফলে চাপ বেশি পড়ে। বাড়তি ওজন কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা হাড়ের সংযোগস্থলের ওপর চাপ কমায় ও হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি হ্রাস করে।
শরীর চর্চা: খাদ্যাভ্যাসের পরে শরীরে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রাখে শরীর চর্চা। তাই শরীরকে সচল রাখতে নিয়মিত চলাফেরা ও অনুশীলন করা জরুরি। দীর্ঘক্ষণ একইভাবে একই জায়গায় বসে না থেকে মাঝে মঝে চলাফেরার অভ্যাস গড়ে তুলুন। হালকা শরীরচর্চা যেমন- হাঁটা চলা, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা ও ‘স্ট্রেচিং’ করুন। ওজন কমায় এমন শরীরচর্চার পাশাপাশি শক্তি বাড়ায় এমন ব্যায়ামও করা জরুরি। ব্যায়ামের সময় হাড় ও সংযোগস্থলের যেন কোনো আঘাত না লাগে সেদিকে খেয়াল রেখে নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। অনেক দিন পরে যদি নতুন করে শরীরচর্চা শুরু করেন তাহলে ধীরে ধীরে আবার অভ্যাসে পরিণত করুন। সবসময় সঠিক পদ্ধতি ও দেহভঙ্গিতে ব্যায়াম করুন। এতে আঘাত পাওয়ার ঝুঁকি কমবে। ওজন তোলার ক্ষেত্রে সঠিক দেহভঙ্গি অনুসরণ করা ও সে অনুযায়ী চর্চা করা জরুরি।
অতএব, সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সঠিক উপায়ে দেহের যত্ন নিলে হাড় ও হাড়ের সংযোগ সুস্থ রাখা যায়।