নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ’ শিরোনামে শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনায় এই অভিমত তুলে ধরেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর।
ক্ষমতাসীনদের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী যে রাজনৈতিক দল ও সরকার স্বাধীনতার চেতনা ও যৌন চেতনা যে এক নয়- এই তফাৎটাই মূর্খরা বোঝে না। আর বোঝে না বলেই এই ব্যাপারে যথাযথ যে আইনের প্রয়োগ বা পদক্ষেপ নেওয়া সেটা তারা নিতে পারছে না বলে সমাজে অস্থিরতা বেড়েছে, অবক্ষয় বেড়েছে।”
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “রাজনীতিবিদরা যদি সামনে কম দেখে তাতে কিছু যায় আসে না। রাজনীতিবিদরা যদি দূরে বেশি না দেখে সেটাই হয়ে যায় সমাজের জন্য ক্ষতিকর। অর্থাৎ রাজনীতিবিদদের দেখতে হবে দূরে। আজকের কথা ভাবতে হবে না, এক মাস পরে কী, এক বছর পরে কী হবে, পাঁচ বছর পরে কী হবে, একশ বছর পর আমার দেশের অবস্থা কোথায় যাবে- সেই দূরদর্শিতা যদি না থাকে সেই সদিচ্ছা যদি না থাকে পলিটিশিয়ানদের, তাদের মধ্যে দেশপ্রেমের যদি ঘাটতি থাকে; তাহলে যা হবার তাই হচ্ছে …।”
এ কারণে সমাজে যে অবক্ষয় দেখা দিয়েছে তা সহসাই ঠিক হবে না মন্তব্য করে এই বিএনপি নেতা বলেন, “এদেশে সমাজে বা রাষ্ট্রে যে অবক্ষয় চলছে একদিনে তা আসে নাই, একদিনে যাবেও না। আমিও বলব, কালকে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাতারাতি এটা শেষ হবে না।
“তবে এইটুকু বলতে পারি যে, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে একটি গণতান্ত্রিক চর্চার সূচনা যদি হয়, ধীরে ধীরে এটা যদি প্রাতিষ্ঠানিক হয়, সকল শ্রেণি-পেশা-বয়স সকলের মধ্যে যখন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং জবাবদিহি নিশ্চিত হবে সেই দিনই এই অবক্ষয় দূর হবে।”
পরিস্থিতির উত্তরণের কারণেই ‘গণতন্ত্র ফেরানো’ জরুরি বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, “জনগণ তার নাগরিক অধিকার ঘুম থেকে উঠার পরে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পালন করতে পারবেন, ভোগ করতে পারবেন- এটাকেই বলে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকতা।
“যতক্ষণ পর্যন্ত এই দেশ, এই রাষ্ট্র এদেশের জনগণ গণতন্ত্র নিশ্চিত না করতে পারবে, ততদিন জনগণ ভোগান্তির হাত থেকে মুক্তি পাবে না।”
জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে এই আলোচনা সভা হয়।
সংগঠনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব আবদুল্লাহিল মাসুদের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জিয়া পরিষদের অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক লুতফর রহমান, অধ্যাপক জিকেএম মুস্তাফিজুর রহমান, অ্যাডভোকেট দেওয়ান মাহফুজুর রহমান ফরহাদসহ অনেকেই।