নিউজ ডেস্ক:
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন সংশোধন অধ্যাদেশ সই করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ মঙ্গলবার ১৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ বলে তার প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।এর আগে গতকাল সোমবার ১২ ই অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন সংশোধন অধ্যাদেশ ২০০৮ চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।দেশজুড়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বিরোধী আন্দোলন এবং ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবির মধ্যে সরকার এই পদক্ষেপ নিল।সোমবার মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর সচিবালয়ে ব্রিফিং করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।কারাদণ্ড শব্দগুলো প্রতিস্থাপিত হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।তিনি বলেন গত কিছুদিনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন মূলক অপরাধগুলো কঠোরভাবে দমনের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২১ ধারা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেই এই উপধারায় বিধান ছিল যদি কোন পুরুষ কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন তাহলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব আসে নারী ও শিশু নির্যাতন একটি জঘন্য অপরাধ সমাজে নারী ও শিশু নির্যাতন কঠোরভাবে দমনের লক্ষ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অধীন অপরাধের জন্য অথবা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদানের লক্ষ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন( ২০০০ )সংশোধন করা প্রয়োজন।ধর্ষণ মামলার বিচার কত দিনের মধ্যে শেষ হবে এই বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন আগের আইনে আছে ১৮০দিনের মধ্যে হবে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচার হবে। এখানে বিচার পদ্ধতি মেনশন করা আছে আগে যাবজ্জীবন শাস্তি দেওয়া হয়নি এখন সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হয়েছে।