সুবীর পালঃ
মহামান্য আদালতের প্রচারিত নিষেধাজ্ঞার আদেশ অমান্য করে প্রতিনিয়ত পাম্প বসিয়ে পুকুরের পানি বিক্রী করে যাচ্ছেন মামলার বাদী।
বিবাদীকে হয়রানী করার উদ্দেশ্যে বাদীর দায়েরী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তে মাহমান্য আদালতের প্রচারিত আদেশ অমান্য করে যাচ্ছেন স্বয়ং বাদী। যাহা কোর্ট অবমাননার সামিল।
ঘটনা প্রবাহে জানা যায়- চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত সাতকানিয়া থানাধীন কাঞ্চনা মৌজায় স্থিত আর, এস, ১১১৭১, ১১১৮০ দাগ সহ আরো কতেক দাগ নিয়ে সুনিল পাল গংকে বিবাদী করে ২০১৩ইং সালে সাতকানিয়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, সাতকানিয়া, চট্টগ্রামে ঘোষনা মুলক প্রতিকারের প্রার্থনা জানিয়ে একটি অপর মামলা দায়ের করেন ননী গোপাল পাল, পিতা- মৃত হিমাংশু বিমল পাল। যাহার নম্বর ৮০/২০১৩ইং। ২০১৩ইং সালে বাদীর দায়েরী মামলায় বিবাদীগন কোর্টে হাজির হয়ে জবাব প্রদান পূর্বক প্রতিন্দ্বিতা করে আসছেন।
আরো জানা যায়- আর, এস, ১১১৭১ দাগ একটি এজমালি পুকুর হয় এবং উক্ত পুকুরে বাদী ও বিবাদীগণ হারাহারি মতে মৎস্যাদি জিয়নে শিকারে ভোগ দখল করে আসছেন। কিন্তু জুলুমবাজ বাদী নিজ হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য উল্লেখিত মামলায় এজমালী পুকুরটিতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে বসে।
বাদীর দায়েরী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তে বিজ্ঞ আদালত বিগত ২৯/০৭/২০২০ইং তারিখ একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রচার করেন। জুলুমবাজ ও লোভী বাদী মোটা টাকার বিনিময়ে বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করে পাম্প বসিয়ে উক্ত পুকুরের পানি বিক্রী করে যাচ্ছেন। যাহা আইন আদালত অবমাননার সামিল।
উক্ত বিষয়ে এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে- তারা বাংলা টুডেকে জানায়; বাদী একজন মামলাবাজ প্রকৃতির লোক। মামলা করে নিরীহ মানুষের সহায় সম্বল আত্মসাত করা এবং মামলায় জড়িয়ে মানূষকে হয়রানী করা তার একমাত্র পেশা ও নেশা। এলাকার কোন মানুষের সাথে বাদীর ভালো সম্পর্ক নেই।