নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানাধীন সরল ২ নং ওয়ার্ডের বিশিষ্ট জমিদার মৃত আলহাজ্ব শামসুল ইসলামের পুত্র সমাজসেবক ও দানবীর নূর মোহাম্মদের সহায়-সম্পত্তি জবর দখল করার উদ্দেশ্যে তাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ করেছে তার পরিবার এবং এলাকাবাসী।
নূর মোহাম্মদের পরিবার এবং এলাকাবাসী জানায় নূর মোহাম্মদকে কারাবন্দী অথবা হত্যা করে তার ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সম্পদ লুটপাট করার জন্য সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুরা তার বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। সর্বশেষ র্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত কুখ্যাত সন্ত্রাসী জাফর মেম্বার ১৪ই এপ্রিল গভীর রাতে তার ঘনিষ্ঠ সহচর আবুল কালামকে ডেকে নিয়ে ১নং ওয়ার্ডের মাঝের পাড়া নামক স্থানে নিজ হাতে গুলি করে হত্যা করে ঘটনাস্থল দেখায় ২নং ওয়ার্ডে। উক্ত হত্যা মামলায় নূর মোহাম্মদকে প্রধান আসামী করা হয়। নূর মোহাম্মদের পরিবার এবং এলাকাবাসী আরো জানায় এই হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত হলে নূর মোহাম্মদ নির্দোষ প্রমাণিত হবে। কারণ ঘটনার সাথে তার বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নাই। এছাড়া আবুল কালামের সাথে তার ব্যক্তিগত কোন শত্রুতা ছিলো না।
নূর মোহাম্মদের স্ত্রী কামরুন্নাহার বলেন,
জাফর মেম্বারের মৃত্যুর পরে তার ছেলে মোর্শেদ, ভাতিজা ইস্কান্দারসহ ভূমিদস্যুরা “সরল সন্ত্রাসমুক্ত চাই” নামক একটি পেজ থেকে নূর মোহাম্মদকে সন্ত্রাসী বানানোর জন্য বিভিন্ন মিথ্যা প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। যেটার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সন্ত্রাসীরা আমাদেরকে প্রতিনিয়ত এই বলে হুমকি দিচ্ছে নূর মোহাম্মদকে প্রশাসন গ্রেফতার না করলেও তারা যেকোনো সময় হত্যা করবে। হুমকীর পরে ৩০শে জুলাই বাঁশখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি, যার নং ১২৮১।
নিহত আবুল কালামের লাশ বহণকারী সিএনজি চালক ইসহাক ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ঘটনার রাতে ১১টার সময় তার সিএনজি করে সরল বাজার থেকে জাফর মেম্বার কালামসহ আরো ৩ জনকে সাথে নিয়ে মাঝের পাড়ায় গিয়ে সেখানে আনুমানিক ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে সবাইকে নিয়ে আবার সিএনজিতে ওঠে। সিএনজি একটু চলার পরে কে বা কারা কালামকে গুলি করে। তখন জাফর বলে যে গাড়ী নিয়ে সোজা কালামের বাড়ীতে যেতে। এরপরে কালামের বাড়ীতে লাশ রেখে সে সিএনজি নিয়ে চলে আসে।
৭নং সরল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রশিদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, সরল এমন একটি এলাকা যেখানে প্রতিনিয়ত প্রতিহিংসা এবং দাঙ্গা-হাঙ্গামা বিরাজমান। এই গ্রুপিং ও আধিপত্য বিস্তারের লড়াই পাকিস্তান আমল থেকেই চলে আসছ। আবুল কালাম হত্যা সম্পর্কে তিনি বলেন, এই ঘটনা আমি শুনেছি। ১ নং ওয়ার্ডের ঘটনাস্থল ২ নং ওয়ার্ডে দেখানোর কথাও আমাকে অনেকে জানিয়েছে। প্রশাসন তদন্ত করে সত্য ঘটনাটি বের করবেন এবং প্রকৃত খুনীরাই শাস্তি পাক সেটাই আমার প্রত্যাশা।
ঘটনার বিষয়ে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, আবুল কালাম হত্যা মামলার তদন্ত এখনো চলতেছে। এসপি স্যারের অনুমতি সাপেক্ষে দ্রুত চার্জশীট দেওয়া হবে।