বাচ্ছু
চ্ট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানাধীন বাস টার্মিনাল সড়কের (বাস টার্মিনাল সংলগ্ন) নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী বাড়ীর বীর মুক্তিযুদ্ধা মৃত শামসুল হক চৌধুরীর স্ত্রী লায়লা বেগমের বিরোধীয় সম্পত্তিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ। শুধু তা নয়, অবৈধভাবে রাস্তা দখলের জন্য সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে লায়লা বেগমের সীমানার দেওয়ালও গুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে । বৃহস্পতিবার (৮ই এপ্রিল) সকাল ১০ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ৮-১০ জন শ্রমিক রাস্তা এবং একটি প্লটে বালি ভরাট করতেছে। প্লটের পাশে ২০-২৫ জন বহিরাগত লোক অবস্থান করছে। অনুসন্ধান, মামলা এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযুদ্ধা মৃত শামসুল হক চৌধুরীর স্ত্রী লায়লা বেগমের সাথে আবুল কাশেম এবং মুজিবুদ্দৌলার জমি ও চলাচল রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলে আসতেছে। উক্ত বিরোধের জের ধরে উচ্চ আদালতের মামলা নং ৩৩৪৭/১১ এবং চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (মহানগর) এর আদালতে মামলা নং ৪৩৮/১১ চলমান রয়েছে। উক্ত মামলাসমূহ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিরোধীয় সম্পত্তিতে কোন প্রকার ভরাট/ নির্মাণ কাজ না করার জন্য নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে স্থানীয় থানার অফিসার ইনচার্জকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন আদালত। কিন্তু বিবাদীরা সম্পূর্ণ গায়ের জোরে আইনের কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে লকডাউন পরিস্থিতিতে প্রশাসনের ব্যস্ততার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চলাচল রাস্তা দখলের জন্য সীমানা দেয়াল ভেঙ্গে দিয়ে রাস্তা এবং প্লটে ভরাট কাজ চালায়। বিষয়টি স্থানীয় থানায় অবহিত করা হলে পুলিশের একটি টিম এসে কাজ বন্ধ রাখতে বলে চলে যায়। কিন্তু পুলিশ চলে যাওয়ার পর আবারো কাজ চালিয়ে যায় এই প্রভাবশালী মহল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেকোন সময় অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান এলাকাবাসী। এই ব্যাপারে জানতে চাইলে চান্দগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, সকালে বিরোধীয় সম্পত্তিতে কাজ চলতেছে এমন অভিযোগ পাওয়ার পর ফোর্স প্রেরণ করে কাজ বন্ধ করা হয়। কিন্তু ফোর্স চলে আসার পর আবার কাজ শুরু করলে কি করা যায়? করোনা পরিস্থিতির কারণে পুলিশের ব্যস্ত সময় কাটছে। তবুও আবার ফোর্স প্রেরণ করা হবে। বীর মুক্তিযুদ্ধা মৃত শামসুল হক চৌধুরীর স্ত্রী লায়লা বেগম জানান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (মহানগর) এর আদালতে দায়েরকৃত মামলায় সহকারী কমিশনার(ভূমি) আমার পক্ষে প্রতিবেদন প্রদান করেছেন। তাই বিবাদীরা মামলায় হেরে যাবে বুঝতে পেরে তড়িঘড়ি করে দখলবাজিতে নেমেছে। তারা যেভাবে ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে আমার সীমানার দেয়াল ভেঙ্গে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে তাতে আমি শঙ্কিত। এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বাঁধা দেওয়ায় তারা আমার ছেলের উপরও হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।