বিশেষ প্রতিবেদন
বরগুনার আমতলী বাসুকী ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্ধা মৃতঃ বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল রশিদ হাওলাদারের ছেলে মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ ওরফে প্রতারক মহিব(৩২) যার প্রতারণা শিকার হয়েছেন আমতলী সহ বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ, মিথ্যা বলে সুকৌশলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়াই যার নেশা ও পেশা।
জানাগেছে ২০২২ সালে বরগুনার আমতলীতে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দুই কোটি টাকা নিয়ে প্রতারক মহিবুল্লাহ লাপাত্তা।
এ বিষয়ে ঐ সময়ে ব্যাপক হারে সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন এই প্রতারক।
প্রতারক মহিবুল্লাহর আরো চঞ্চল্যকর লোম হর্ষক ঘটনা বেরিয়ে আসে একের পর এক তার প্রতারনার অন্যতম এক সহযোগী ময়মনসিংহ ত্রিশালের কানিহারী গ্রামের জিন্নাত উল্লাহ নামের এক ইউপি সদস্য তার নিজ এলাকায় ভোটার আইডি করে পাসপোর্ট ভিসা তৈরি করে ভারত পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে ।
প্রতারক মহিবুল্লাহর জুমুল নির্যাতন ও অত্যাচার থেকে রেহাই পায়নি তার নিজ স্ত্রী শিশু কন্যা সন্তান ফাতিমাও জানাগেছে তার স্ত্রীকে প্রচুর মারধর করার ফলে তার স্ত্রী সাদিকা ইসলাম মানুষিক ভারসাম্যহীন হয়ে পরে একটা সময় স্ত্রীর অসুস্থতা সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমতলীর কিছু অসাধু ব্যাক্তির সহযোগিতায় ভারতের পশ্চিম বঙ্গে পাড়ি জমান।
সেখানে গিয়েও থেমে থাকেনি তার প্রতারনা ব্যাবসা সেখানকার খেটে খাওয়া হতদরিদ্র ও সাধারণ মানুষদের কাছ থেকেও হাতিয়ে নিতে শুরু করে কোটি কোটি টাকা।
এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় নিয়মিত শারীরিক নির্যাতনের শীকার হতে হয় তার স্ত্রী সাদিকা ইসলামের তার অমানবিক নিষ্ঠুর নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পায়নি তার ৫ বছর বয়সী শিশু কন্যা ফাতিমাও ।
সাদিকা ইসলাম সাংবাদিকদের জানান আমার স্বামীর এই অপকর্মে বাধা দেয়ায় আমাকে প্রতিনিয়ত লাঠি ও কোমরের বেল্ট দিয়ে নির্যাতন চালায়, ব্লেড দিয়ে কেটে আমাকে রক্তাক্ত করে এবং আমাকে ঘরবন্দী করে রাখে শুধু তাই নয় আমার পাসপোর্ট ভিসা আটকে দেওয়া সহ আমার পরিবারের কারো সাথে যোগাযোগ পর্যন্ত করতে দেয়নি। যাহাতে আমি বাংলাদেশে না যেতে পারি।
সাদিকা ইসলাম কান্না জরিত কন্ঠে জানান
শেষমেষ আমার কিডনি বিক্রি করার প্রস্তাব দেয় আমার স্বামী মহিবুল্লাহএবং আমার মেয়ে ফাতিমা আক্তারকে বিক্রি করে দেওয়ার কথা জানালে প্রান বাঁচাতে কৌশলে সেখান থেকে আমি পালিয়ে এসে মুর্শিদাবাদের বেলডাডাঙ্গা থানায় আমার এক আত্নীয়র বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি।
এবং বেনিয়াপুকুর থানায় পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলার জিডি করা সহ ভারত বাংলাদেশ দূতাবাসে আবেদন করেছি।
তিনি আরো জানান প্রতারক মহিবুল্লাহ আমাকে খোঁজাখুজি করছে আমাকে পাওয়া মাত্রই সে মেরে ফেলবে আমি প্রতিনিয়ত চরম ভয় ও আতংকে কাটাচ্ছি।
বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারত সরকারের কাছে আমার জোরঅনুরোধ এই প্রতারক মহিবুল্লাহকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক স্বাস্থীর ব্যাবস্থা করা হোক পাশাপাশি আমাকে ও আমার মেয়েকে যেন দ্রুত বাংলাদেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
এদিকে সাদিকা ইসলামকে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহ ভারত বাংলাদেশ দুতাবাসে তার বাবা মোঃ মনিরুল ইসলাম আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে ভারতের মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গা থানার ওসি সাংবাদিকদের জানান আমরা তথ্য পেয়েছি বাংলাদেশের একজন ভদ্রমহিলা তার মেয়ে সহ প্রানের ভয়ে আমার থানা এরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে সাদিকা ইসলাম ও তার মেয়ে ফাতিমাকে শতভাগ নিরাপত্তা দিতে সোচ্চার রয়েছি।