বাংলা টুডে ডেস্ক:
বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও ভর্তির বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদফতর। এইসব নির্দেশনা সরকারি বিদ্যালয় গুলো মানলেও বেসরকারী বিদ্যালয় মেনে চলেনি ৷ পাঁচটি শর্ত মেনে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় করবে প্রথেম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে ভর্তির কাজটি বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো ৷
এ বিষয়ে মাউশির এক কর্মকর্তা বলেন, আবেদনের তারিখ নিজেদের মতো ঠিক করবে বেসরকারি বিদ্যালয়। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা।
যেসব শর্তে ভর্তির কাজটি করবে বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো,
১. করোনা পরিস্থিতির কারণে জনসমাগম এড়াতে লটারি প্রক্রিয়াটি ফেসবুকে লাইভে অথবা অন্য যেকোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
২. লটারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সরকারের ভর্তি তদারকি ও পরিবীক্ষণ কমিটি, বিদ্যালয়েরর ভর্তি পরিচালনা কমিটি, অভিভাবক প্রতিনিধি, ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রতিনিধি ও শিক্ষক প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
৩. লটারির তারিখ নির্ধারণ করে ভর্তি তদারকি ও পরিবীক্ষণ কমিটিকে অবহিত করতে হবে।
৪. স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লটারি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
৫. সর্বোপরি লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়াটি যেন কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, লটারিতে ভর্তি কার্যক্রম চললেও সেখানে অভিভাবকরা উপস্থিত থাকতে পারবেন না। অভিভাবক প্রতিনিধিসহ ভর্তি কমিটি গঠন করে ভর্তিতে লটারি চালানো হবে। একাধিক ধাপে লটারি করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ওয়েবসাইটে এর ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
দেশে বর্তমানে ৬৩৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে শুধু রাজধানীতেই আছে ৪২টি। দেশে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যায় আছে ১৯ হাজার ৪২১টি। যার মধ্যে ১৬ হাজার ৭৭৫টি এমপিওভুক্ত, বাকি ২ হাজার ৬৪৬টি নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে রয়েছে।