নিউজ ডেস্কঃ
মাছ ধরে ঘাটে নিয়ে আসার সময় বঙ্গোপসাগরের সাংগু নদীর মোহনায় জলদস্যুদের হামলার শিকার হয়েছে আনোয়ারার জেলেদের একটি মাছ ধরার নৌকা। এ সময় ছেলেদের সমস্ত মালামাল লুটপাট করা হয় এবং জেলেদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারধর করে সাগরে ফেলে দেওয়া হয়। আহত জেলেরা কোনরকমে কূলে ফিরে জীবন বাঁচান।
জানা যায়, বঙ্গোপসাগরের সাংগু নদীর মোহনা হতে পশ্চিমে জাল বসানো ফাঁড়ে মাছ ধরে ঘাটে নিয়ে আসার সময় সাংগু নদী হতে একটি টেম্পু বোট ২৬ সেপ্টেম্বর রাত ৩ টায় আনোয়ারা গহিরা গ্রামের একটি মাছ ধরার নৌকার পিছু নিয়ে ধরে ফেলে। এ সময় মাঝিদের মাছ মোবাইল সহ যাবতীয় জিনিসপত্র জলদস্যুরা নিয়ে তাদেরকে মারধর করে সাগরে ফেলে দেয।
এরা বাঁশখালী থানাধীন ৩ নং খানখানাবাদ ইউনিয়নের প্রেমাশিয়া গ্রামের চিহ্নিত জলদস্যু বলে জানান ভুক্তভোগী মাঝিমল্লারা। জলদস্যুদের সর্দার নৌকার মাঝি ও কোম্পানি মো. ফিরোজ পিতা: নূর নবী বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে হামলার শিকার মৎস্যজীবী শওকত হোসেন জানান, “বঙ্গোপসাগরের সাংগু নদীর মোহনা হতে পশ্চিমে জাল বসানো ফাঁড়ে আমরা টংজাল দিয়ে ফাঁড় হতে ৩/৪ মণ মাছ ধরে ফাঁড় থেকে ঘাটে নিয়ে আসার সময় হঠাৎ করে সাংগু নদী হতে একটি টেম্পু বোট রাত ৩ টার সময় আমাদের নৌকার পিছু নিয়ে এলোপাতাড়ি পাথর নিক্ষেপ করে। এসময় আমরা জলদস্যুদের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নৌকার ইঞ্জিন বন্ধ করে দিই। জলদস্যুরা লাঠি, ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের নৌকায় উঠে আমাদের ৪ জন স্টাফকে মারধর করে সাগরে ফেলে দেয়। আমাকে জলদস্যুদের নৌকায় তুলে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি, লাথি ও লাঠি দিয়ে মেরে জখম করে। আমি কোনরকম জলদস্যুদের হাতে পায়ে ধরে আমার নৌকায় উঠে যায়। তারপর তারা আমাদের নৌকার মাছ, আমার মোবাইলসহ যাবতীয় মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে চলে যায়। তারপর আমরা আমাদের বাকি স্টাফদের সাগর থেকে নৌকায় তুলে কূলে ফিরে আসি। এসব জলদস্যুদের আমরা চিনি। জলদস্যুদের সরদার বাঁশখালী উপজেলার ৩ নং খানখানাবাদ ইউনিয়নের প্রেমাশিয়া গ্রামের নূর নবীর ছেলে মোহাম্মদ ফিরোজ।”
উক্ত ঘটনায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতি- রায়পুর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি আব্দুর রহমান নাগু বাঁশখালী থানাধীন প্রেমাশিয়া গ্রামের জলদস্যুরা যেরকম মারাত্মক ঘটনা ঘটিয়েছে এর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে আনোয়ারা বার আউলিয়া ঘাঁট নৌপুলিশ ফাঁড়ীতে একটি জিডি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।